শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু

বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু

স্বদেশ ডেস্ক:

বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৮) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।

এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে শহরের মালগ্রাম এলাকায় গোলাগুলিতে নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের অপর কর্মী মিনহাজ হোসেন আপেলও (২৪) গুলিবিদ্ধ হন।

নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ শহরের মালগ্রাম ডাবতলা এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া জেলা শাখার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, মালগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েকদিন ধরে মালগ্রাম ডাবতলা এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলে। এর জের ধরে ২ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হলে অরেঞ্জ ও আপেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এর মধ্যে নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঘটনার পরের দিন ৩ জানুয়ারি ওরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্নালী আক্তার বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে ১২ জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করেন। আসামিরা হলেন- বগুড়া মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), রাসেলের ছোট ভাই রাছানী (২৭), শহরের ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে সুমন (২০), বেলতলা এলাকার মতিন শেখের ছেলে শাকিব (২২), মালগ্রাম এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিব (২৪) এবং একই এলাকার আইনুল কসাইয়ের ছেলে টিপু (২৬)। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে র‌্যাব-১২, বগুড়া সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাজমুল হাসান ওরেঞ্জ নিহতের ঘটনায় এজাহারের ৩ নম্বর আসাুম খাইরুল ইসলামকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার ফাঁপোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খাইরুল শহরের ডাবতলার মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার ৭ নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। এদিকে, ওরেঞ্জ মারা যাওয়ার সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে মালগ্রাম ডাবতলা ও মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877